আমি ফাষ্ট হয়েছি- এস এ বিপ্লব
এস এ বিপ্লব
সাজ ৬ ভাই- বোনের মধ্যে সবার ছোট। ছোট
মানে বোঝাই যাচ্ছে জন্মটা লাস্ট বা শেষে হয়েছে। কিন্তু জন্মটা শেষে হলে কি হবে, সাজের
খুব ইচ্ছে ফাস্ট হওয়ার। সে চায় সবকিছু তে ফাষ্ট থাকতে, ফাষ্ট হতে। তাই প্রাইমারি থেকে
শুরু করে, খেলাধুলা, বন্ধুত্বে, শিক্ষা জীবনে এবং নানান রকমের প্রতিযোগীতায় অংশ নিত।
এমন কি বই পাঠ, কবিতা লেখা, রচনা প্রতিযোগীতায় অংশ নেওয়া, গল্পলেখা, বই বের করা এ ধরনের
সকল কিছুতেই অংশ নিত। না বলতে কোন শব্দ ছিল না। বিশেষ করে ভালোর না। অথচ কি কপাল সাজের,
যেখানেই যায় সেকেন্ড আর থার্ড হয়ে থাকে হায়। এমন কি শিক্ষা জীবনেও একটা ফাষ্ট ক্লাস
পাওয়ার জন্য পরিবারের সবার উপরে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে থাকে। শুধু কি পরিবার সাজের বন্ধুদের
থেকেও সবারে উপরে শিক্ষিত হয়ে থাকে। সাজ এম এস এস ডাবল আবার সাথে এল এল বি পড়া শেষ
করে থাকে।যা সাজের পরিবার তথা আর কোন বন্ধু পড়েনি।
কিন্তু ফাষ্ট হবার জন্য পড়েছে ডাবল
এমএসএস অথচ কোন ক্লাসে ১ম স্হান বা ফাষ্ট হতে পারে নি। আর ফাষ্ট হবার জন্যই তো সাজ
এখানে, সেখানে যে যেটা বলত সব কিছুতে অংশ গ্রহন
করত। কিন্তু সাজের কপাল ছিল ইঁদুর কপাল। তাই ভাগ্য তার সহায়ক হয়নি। একবার সরকারি পাঠাগারে
রচনায় প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করে। সেখানে সাজ ফাষ্ট হয়ে ও হইল না।কারন সাজের পরিচিত
এক শিক্ষক অংশ নেয় তাই গুরুকে সম্মান দেখাতে গিয়ে সাজ সেকেন্ড স্হান মেনে নেয়। এরপর
একবার সিনেমাতে গবেষনা মূলক বিশেষ করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সম্পর্কে একটি প্রবন্ধ জমা
দিয়ে থাকে। যারা লেখা জমা দিয়েছিল (প্রায় ১হাজারের উপরে হবে) সেখান থেকে মাত্র ৫০ জন
কে ডাকা হয়েছে। এমন কি সাজ কেও। জায়গাটা ছিল বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে। গিয়ে দেখে সাজের
নাম প্রথম স্হানে। তাই দেখে সাজ তো খুশী, এতো খুশী যে এবার বুঝি ওর ফাষ্ট হওয়া আর কেউ
ঠেকাতে পারবে না। এবার সাজ বলবে-আমি ফাষ্ট হয়েছি। সাজের সাক্ষাৎকার ও নিল ডেকে।আরো
দু-একজন এর সাক্ষাৎ নিয়েছে। কিন্তু কি দূর্ভাগা কপাল সাজের, সেদিন দূর্ভাগ্যবসত বিশেষ
কোন কারনে সেই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। খুব কষ্ট লেগেছে সেদিন, এতো কষ্ট যে সেদিন আর
বাড়ি আসা হয় নি। সাজ এবার হতাশায় পড়ে যায়। কি করবে আর কোথায় অংশ নিবে, কোথায় বা ফাষ্ট
হবে। কোন কিছু বাদ নেই, আর কোন কিছু তে হতেও পারে নি। আসলে এ যুগে কোথাও ফাষ্ট হওয়া
খুব কঠিন।
ছোট ভাইয়ের জীবন
হয় না উন্নয়ন
হয় শুধু পতন, তার চেয়ে
ভালো হতো হলেও মরণ।
শুনেছি বাবার কাঁধে
সন্তানের লাস.... বড় বোঝা।
তো বড় ভাইদের কাঁধে
ছোট ভাইয়ের লাস
এটাতো কম নয়
এই বোঝা কি সহ্যের হয়।
No comments